শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর পৌনে ২টা জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ইমামতি করেন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে গত মঙ্গলবার থেকে দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে আসতে শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার মুসল্লিদের আগমনে ময়দান পূর্ণ হয়ে যায়। পরে বাদ জোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায় করতে শুক্রবার সকাল থেকেই চারদিক থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। কেউ নৌকাযোগে, কেউ বিভিন্ন গাড়ি, কেউ ট্রেনে করে ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছান। ময়দানে জায়গা না পেয়ে অনেকেই বিভিন্ন কলকারখানার ছাদ, বাসা-বাড়ির ছাদ, সড়ক-মহাসড়ক ও ফ্লাইওভারের ওপরে অবস্থান নিয়ে নামাজ আদায় করেন। নামাজ আদায় করতে ইজতেমা ময়দানমুখী মুসল্লিদের ঢল নামে। মুসল্লিরা পলিথিন, কাগজ, চট বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন।

শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা। সকাল ১০টায় তালিম করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক।

বাদ জুমা বয়ান করবেন জর্ডানের মাওলানা ওমর খতিব, বাদ আসর বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ ও বাদ মাগরিব হিন্দুস্তানের মাওলানা আহমদ লাট সাহেব বয়ান করবেন।

বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের আগমনে ময়দান পরিপূর্ণভাবে ভরে গেছে। অনেক মুসল্লি ময়দানে জায়গা না পেয়ে পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও কামারপাড়া সড়কসহ বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন।

এ পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আসা তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।